Nocturnal Animals সিনেমাটি রিজিল হয় আমেরিকায় ২০১৬ সাথে। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিনেমাটি রিলিজের পর থেকেই জয় করছে দর্শকদের মন। ক্লাসিকাল মুভি হিসেবে Nocturnal Animals মুভিটির কন্সেপ্ট খুবই ইউনিক।
সুখ কিসে? ছোট্ট তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন এটি। Susan নামের মেয়েটি সাভাবিকভাবে ধনী পরিবারের৷ আর্টিস্ট এই মেয়েটিন ব্যক্তিগতভাবে খুব ডিস্ট্রাবড। তার এক হাই সোসাইটির আর্ট গ্যালারি থেকে বাসায় ফিরার পর একটি চিঠি পায় যার সাথে এট্রার্চ করা ছিলো একটি নোভেল। যেটা পাঠিয়েছে তার এক্স হাসবেন্ড Adward [ নোট : তাদের বিচ্ছিন্ন হয়েছে ১৯ বছর আগে ] এতো বছরের মধ্যে susan যোগাযোগ করতে চাইলেও Adward করেনি। আর এতো বছর পর তার লিখা নোভেল পড়ার জন্য বলেছে চিঠিতে।
এভাবেই মূলত গল্প শুরু। পুরো গল্প জুরে নোভেল ঘিরেই। বলা যায়, গল্পের ভিতরে গল্প। এখানে পয়েন্ট করার মত বিষয় গুলো হচ্ছে 1. Past 2. Present 3. Novel
Movie name : Nocturnal Animals যা রিলিজ হয়েছে 2016 সালে। মুভিটির পরিচালক ও গল্পের লেখক টম ফোর্ড। মুভিটি ইংরেজি ভাষায় রিলিজ হলেও এখন হিন্দিতেও এভেইলেবল আছে। এছাড়া বাংলা সাবটাইটেল দিয়েও মুভিটি উপভোগ করতে পারবেন।
মূলত গল্পের কিছু বলতে চাচ্ছি না। আর বল্লেও লাভ হবে না কারন এটা হাইলি ডার্ক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার মুভি। মুভিখোর হয়ে থাকলে মুভির এন্ডিংয়ে আপনাকে নিজের ভেবে ভেবে বুজতে হবে আসলে হয়েছেটা কি। আর না হলে মুভি এক্সপ্লেইনার দেখে মূল বিষয়টা ধরতে হবে। যখন মূল বিষয়ে পৌছাতে পারবেন তখন আরেকবার মুভি নিয়ে ভাববেন। হ্যা এটাই হবে।
বেশ কিছু চমক রয়েছে। ইমোশোনাল হবেন, কনফিউজড হবেন, রাগান্বিত হবেন, স্ক্রিনের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন।
তো যদি এসব কথায়ও ইন্টারেস্ট না জাগে মুভিটির উপর তাহলে একটু গল্প শুনেন। যারা স্পয়লার ছাড়া দেখতে চাইবেন তারা পড়বেন না।
যতটুকু বলেছিলাম, নোভেল পাঠায়। তার বর্তমান হাসবেন্ড তথাকথিত মিটিংয়ের নাম করে চলে যায় অন্য স্থানে যেখানে অন্য একটি মেয়ের সাথে টপাটপ টপাটপ করতে ( samaj rahi ho na? ) যাই হোক, গল্পে ফিরি। Susan এর রাতে ঘুম আসে না। নোভেল পড়তে শুরু করে। নোভেলে দেয়া যায় Adward এর ছোট একটা পরিবারে তিনি তার ওয়াইফ আর একমাত্র মেয়ে থাকে। যারা কিনা ট্রুর দেয়ার প্লান করে। মধ্য রাতে গাড়ি চালাচ্ছে। এমন সময় কিছু লোকাল বয়েস এসে তাদের সাথে ঝামেলা পাকায়, ওদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য লুট করা। তবে সময়ের সাথে কিছু ঘটনার খাতিরে তাদের উদ্দেশ্য কেবলই লুট করাতে সীমাবদ্ধ থাকে না। Adward কে আঘাত করে তার ওয়াইফ আর মেয়েকে নিয়ে যায় গাড়ি সহ। আর অন্য একটি গাড়িতে করে ওই দলের আরেকজন যায় তাদের পিছে।
একটা নির্জন এড়িয়াতে নিয়ে adward কে ছেড়ে দেয়। ততক্ষন অব্দিও তার স্ত্রী ও মেয়ের খোজ নেই। বেশ কিছু ঘটনা ঘটে এর পরের দিন পুলিশের সহয়তায় ওই এড়িয়া অবজারভেশনে গেলে একটা রেড সোফায় ( ময়লা ফেলার এড়িয়া ) মা ও মেয়েকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বস্তহীন অবস্থান একসাথে [ এখানে একটা পয়েন্ট রয়েছে, ভালো ভাবে দেখতে হবে ] সাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় রেপ করে খুন করা হয়েছে। তারপর....?
এতোটা ডিস্ট্রার্বিং ডার্ক থিম দেখার পর susan এর হাত থেকে বইটি পরে যায়। সে তার পাস্টের কিছু গল্পে পৌছায় যা ছিলো Adward কেন্দ্রিক। এদিকে Susan তার মেয়েকে কল করে জিজ্ঞাস করে সে কেমন আছে [ স্ক্রিনে দেয়া যায় তার মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আছে, যা আরেকটি নোট করার বিষয় ]
এর পর থেকেই একটির পর একটি ঘটনা ঘটে আর Susan এমন এক মানুষের নোভেলে ঢুকে যায় যাকে সে ত্যাগ করেছে ১৯ বছর আগে। এক্ষেত্রে কি ছিলো তার কারন। ভালোবাসার অভাব নাকি অন্য কিছু?
ঘটনার ধারাবাহিকতায় আরো জানা যায় Susan এর অবস্থান। Adward এর থিংকিং আর এতো বছর যোগাযোগ না করার কারন। সাথেই কেনো এতো বছর পর Susan কে পাঠানো হয় Adward এর লিখা নোভেল। আর শেষটায় কি হবে তা আগেই বলছি। বুদ্ধিমান হলে ভাবতে হবে আর একটু কম থাকলে এক্সপ্লেইন ভিডিও দেখতে হবে।
এটি খুব ক্লাসিক একটি মুভি। এমন মুভি যার কন্সেন্ট খুব ইউনিক। শেষের মতবাদ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। অনেক গুলো পয়েন্ট অব ভিউ দেখে চিন্তা করা যায়। যা মনে হয় দর্শকদের জন্যই রেখে দিয়েছে। IMDB rating 7.5 out of 10 যদিও মনে হলো খুব আন্ডাররেটিং। কন্সেপ্ট ও এক্টিং এর দিক থেকে আরো বেশি ডিজার্ভ করে আসলে। যাই হোক, থ্রিলার প্রেমি হলে মিস না করার জন্য বলছি।
নামের সার্থকতার দিক থেকে চিন্তা করলে একেবারেই পার্ফেক্ট যাকে বলে। নকটার্নাল এনিমলস এর অর্থ হলো এমন প্রানী যারা রাতে জেগে থাকে। গল্পের Susan কে দেখা যায় সে রাতে ঘুমাতে পারে না। যার কারনে তার প্রথম হাসবেন্ড Adward তাকে নকটার্নাল এনিমলস বলেই ডাকতো। এছাড়া গল্পে যত গুলো ঘটনা ঘটেছে সব গুলোই রাতে ঘটেছে।
Post a Comment